লুৎফুল হাসান রানা, কলাপাড়া ॥ কুয়াকাটায় কাঠমিস্ত্রীর জমি ডাক্তার গ্রুপ কর্তৃক জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুয়াকাটা পৌর এলাকার বাসিন্দা হালিম বেপারী। বৃহস্পতিবার বেলা ১১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দিনমজুর হালিম বলেন, অভাব অনটনের কারনে কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ন জমি হওয়া সত্ত্বেও জেএল ৩৪ নং লতাচাপলী মৌজার এসএ ১২৫৩ নং খতিয়ানের ৫২৪৮ নং দাগ থেকে তাদের ভোগদখলীয় ৩৩ শতক জমি থেকে সাড়ে ১৬ শতক জমি ডাঃ হনুফা বেগম, ডা: মিজানুর রহমান, ডা: রফিকুল ইসলাম, ডা: ফাতেমা ইয়াসমিন, ডা: মোসা: ফেরদৌসী আকতার ও মোসা: সালমা বেগমের কাছে ২০১১ সালে ৩৬৭৮ নং কবলা দলিল মূলে কম দামে বিক্রি করে। বিক্রিত জমি বুঝে নিয়ে সেখানে তারা অরোবা প্যালেস নামে একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণ করে ভোগদখল ও ব্যবসা করে আসছে।
লিখিত বক্তব্যে হালিম বেপারী আরো বলেন, ক্রয়কৃত জমির একটি অংশ পিছনের দিকে হওয়ায় ডাক্তারদের নজর পরে তাদের পারিবারিক অবশিষ্ট সাড়ে ১৬শতক জমির উপর। পিছনের জমির পরিবর্তে সামনের জমি দিতে চাপ সৃষ্টি করে। এতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে দখলের চেষ্টা চালায়। এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র ও মহিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ: বারেক মোল্লার হস্তক্ষেপে দখল করতে ব্যর্থ হয়। থানা পুলিশের কাছে সহায়তা চাইলে তারা উল্টো আমাকে ডাঃ গ্রুপের সাথে জামেলা মিটিয়ে ফেলার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। অবশেষে এমন হয়রানী ও জোরপূর্বক দখল চেষ্টা রুখতে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ২০১৯ ইং সালে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার আসামীরা ডা: হওয়ার অযুহাতে বার বার সময় চেয়ে কালক্ষেপন করছে। আদালতে হাজির না হয়ে বিচার কার্যে দীর্ঘ সূত্রিতায় নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তাদের ভোগখলীয় জমির সামনের অংশ থেকে দুই শতক জমি দলিল করে দিতে চাপ সৃষ্টি করছে। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে নানা ভাবে ক্ষতিসাধনসহ প্রান নাশের হুমকী দিয়ে আসছে। দিনমজুর হালিম বেপারী আক্ষেপ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের জমি ক্রয় করে আমাদেরই উৎখাত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ডাক্তার গ্রুপ। এ অবস্থায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভূক্তভোগি হালিম বেপারী ও তার পরিবার। এ বিষয়ে ডা: হনুফা বেগম বলেন, তিনি জোরপূর্বক দখল চেষ্টা ও জমির দলিল দিতে চাপ সৃষ্টি করার কথা অস্বীকার করে বলেন তাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। দলিলের চৌহদ্দী অনুযায়ী জমি বুজিয়ে দিতে বললে হালিম বিভিন্ন কল্প-কাহিনী সাজিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, হালিম অসহায় হওয়ায় তার নিজের জমির উন্নয়ন, মেয়ের বিয়েসহ বিভিন্ন সময়ে আমারা তাকে আর্থিক সহায়তা করেছি। হয়রানী করার কোন প্রশ্নই আসে না।
Leave a Reply